স্বপ্ন রাতের তারা
আবুল হোসেন খোকন
সতেরো.
খুব ভোর। পূব আকাশ এখনও ফর্সা হয়নি।
ফাঁকা রাস্তা। আমি হাঁটছি। পিঠে ব্যাগ। বাসস্ট্যান্ডে চলেছি। খালাদের কাছ থেকে বিদায়। সবার কাছ থেকে দূরে চলে যাচ্ছি। বিদায় পাবনা।
বিদায় স্বজন। বিদায় বন্ধু-বান্ধব।
বিদায় অসংখ্য স্মৃতি।
বিদায় সুখ, বিদায় দুঃখ। সবার কাছে বিদায়। চোখটা কেমন ঝাঁপসা হয়ে আসছে।
বুকটা গুমড়ে গুমড়ে উঠছে। আকাশ-বাতাশ সব কিছু যেন হু হু করছে। কেমন যেন কান্নার সুর।
হাঁটছি। কতোকাল এ রকম হাঁটছি তার কোন হিসেব নেই।
আরও কতোকাল হাঁটতে হবে কে জানে? কতো গ্রাম, কতো মাঠ, কতো ঘাট! গ্রামের সেই ধানক্ষেত, ধুলোমাখা পথ, আর কতো ভালবাসার সমুদ্র! আঁকা-বাঁকা মেঠোপথ কতো হাতছানি দিয়েছে। রাখালী বাঁশীর সুর, পাল তোলা নৌকায়- পদ্মার ঢেউ রে’। জয়দেবপুরের লাল মাটি, ছোট ছোট পাহাড়ের বুক চিঁড়ে উঁচু-নিচু মাটির সরু পথ। জঙ্গল। দিনেরাতে সাবধানে পথচলা।
পদ্মার বুকে পাল তোলা নৌকায় বসে উথাল-পাথাল ঢেউয়ে বাড়ি খাওয়া। চরের পলিমাটি। যমুনার কূল। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়ার মাটি ও মানুষ। তাঁদের জীবন, তাঁদের সংগ্রামÑ সব কেমন একসঙ্গে চলে আসছে। সবকিছু মাড়িয়ে শুধু হেঁটেই চলেছি।
একসময় কতোজনই না ছিল চলার সঙ্গী! তাঁদের অনেকেই আজ
নেই। অনেকে পথ
ছেড়ে চলে গেছে।
আমি এখনও পথে আছি। পথ ছাড়িনি, ঘরে ফিরিনি, ঘর বাঁধিনি। একলা, শুধু একলা চলেছি। দ্য রোড নট টেকেন। I shall be
telling their with a sight Somewhere ages and ages. Two roads diverged in a
wood, and II look the one less traveled by, And that has made all the
difference. যে পথে অনেকে গেছে, মানুষের পায়ে পায়ে আর জিপের চাকার দাগে। যে পথ চিহ্নিত সে
পথে গিয়ে কী
লাভ? যে পথ কেও মাড়ায় না, যে পথে চলতে গেলে পায়ের বা জিপের চাকার নিচে পথ লুকিয়ে রাখা শুকনো পাতা মচমচ শব্দ করে পাঁপর ভাজার মতো গুড়ো হতে থাকে, যে পথের বাঁকে বাঁকে বিস্ময়, বিপদ এবং কৌতুহল, সেই পথেই তো যেতে হয়। জীবনেও যেমন দশজনের মাড়ানো পথে গিয়ে মজা নেই কোন, জঙ্গলেও নেই।
Ñ রবার্ট ফ্রস্ট।
মানুষ তো এক সময় যাযাবর ছিল।
শীতের পাখির মতো।
এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় তারা উড়ে যায়। কিছুদিন চলে-ফেরে।
ঘর বাঁধে না। আবার যাত্রা শুরু করে। মানুষও সেই রকম ছিল। বিরুদ্ধ প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে তাকে শুধু চলতেই হয়েছে। সেই প্রটোপ্লাজম থেকে প্রাণ, প্রাণ থেকে প্রাণী, তারপর বিবর্তনের ধারায় এই
মানুষ শুধু চলছেই।
মানুষ লড়েছে হিংস্র প্রকৃতির বিরুদ্ধে, দাসপ্রভূদের বিরুদ্ধে, জমিদারদের বিরুদ্ধে, ইংরেজ-পাকিস্তানি আর শোষকদের বিরুদ্ধে।
পাখি যেমন সুন্দর নীড় না পেয়ে শুধু চলতেই থাকে। মানুষের চলাও তেমন। জীবন ও
প্রকৃতির যতোদিন বৈরিতা না কাটবে, ততোদিন এই পথচলা চলতেই থাকবে। চলাই জীবন।
হাঁটাই জীবন। তাই আমি হাঁটছি।
সবকিছুকে ফেলে হাঁটছি।
আঠারো.
আবার সেই একঘেয়ে জীবন।
বৈচিত্রহীন চাকরি। এখন অবশ্য আপার কাছে যাবার পথ
পরিস্কার। এই লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য জটিলতা নেই। অন্য কোথাও যাবার তাড়া নেই। পিছুটান নেই। স্রেফ এখন লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া।
সামনের ঈদটা আসতে দু’মাস দেরী। এই সময়টা নির্ঝঞ্ঝাটে কাটিয়ে দিতে পারলেই মুক্তি। হোক অল্প দিনের। তবু তো
স্বাধীনতা, আনন্দ! কে না চায় মুক্ত বিহঙ্গ, স্বপ্নের আকাশ! এখন শুধু অপেক্ষার পালা।
চাকরিতে আসার পর মনটা খুব খারাপ ছিল। অনেক কিছু ফেলে আসার শূন্যতা।
ভিতরে একটা গুমড়ে ওঠা ভাব। জয়েন করার পর
দু’দিন কেটে গেল এভাবে।
তৃতীয় দিন ডাকে একটা মোটা প্যাকেট এলো। তাতে দু’টো বই আর একটা ডায়েরি।
বই দু’টো বিনুর দেওয়া।
ডাযেরিটা দেওয়া দুলাভাইয়ের। প্যাকেটের ভেতর আপার চিঠি। তাতে বলা হয়েছেÑ টাকা পাঠানো হলো। ঈদের খরচের জন্য শুভেচ্ছা, আর অন্য এক ব্যাপারের পাওনা টাকা।
আরও দু’দিন পর টাকাগুলো এলো। ঈদের শুভেচ্ছা, অর্থাৎ কিছু কেনার জন্য দু’শ টাকা আর
পাওনার এক হাজার টাকা। আসলে পাওনা ছিল সাত শ’ টাকার মতো। তিন শ’ টাকা বেশী পাঠানো হয়েছে শুভেচ্ছা হিসেবেই। আমাকে ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। ফাঁকি দিয়ে পাঁচ শ’ টাকা পাঠানো হয়েছে খরচের জন্য। আপার ধারণা আমি এখনও শিশু আছি।
না হলেÑ যেখানে আমারই পাঠানো উচিৎ সেখানে উল্টো কেন তিনি পাঠাবেন? তাছাড়া চাকরি করি। আপার কান্ডকারখানাটাই অন্য রকম! এতোসব কিছু পেয়ে ভিতরের কষ্টটা হঠাৎ ভাল হয়ে গেল।
মনে হলো বাতাসে উড়ছি। ঠিক মুক্ত বলাকার মতো। ভাগ্যিস এরকম একটা আপা আছে! না হলে জীবনটা মাটি হয়ে যেতো।
আরও কয়েকটা দিন কেটে গেল। আপা ও
বিনুদের কাছে চিঠির জবাব পাঠানোর কাজও এরমধ্যে সেরে ফেলা হয়েছে। হাত হালকা করা গেছে। এখন কাজ হলো একটা সুন্দর পরিকল্পনা তৈরি করা। আপাদের ওখানে গিয়ে কি কি করবো, কোথায় কোথায় যাবো, ছুটিটাকে কীভাবে কাজে লাগাবোÑ ইত্যাদি তাবৎ কিছু ঠিক করতে হবে। যাতে এই
সময়টা শুধু আনন্দময়ই নয়, মহা-আনন্দময় হয়। অবশ্য ধুম-ধারাক্কা করে কাটিয়ে দেওয়ার মধ্যে কোন মহা-আনন্দ নেই।
এসব পছন্দ করে তারাইÑ যারা একেবারে কিছু জানে না,
দুনিয়া সম্মন্ধে বোঝে না
এবং যারা একেবারে ব্যক্তিকেন্দ্রীক। কিন্তু আমাদের আনন্দটা হবে ঐতিহাসিক, ঐতিহ্যময় এবং সৃষ্টিশীল। অর্থাৎ সময়টাকে নষ্ট করে দেবার আনন্দ নয়, মানুষের জন্য কিছু সৃষ্টি করে কিংবা নতুন কোন দিগন্তকে উন্মোচন করার আনন্দ। কাজেই পরিকল্পনাটা হতে হবে সাংঘাতিক! এরকম একটা পরিকল্পনা দাঁড় করানো সহজ কথা নয়। টার্গেট ঠিক করতে হবে, টার্গেটে পৌঁছার রূপরেখা থাকতে হবে। যাকে বলে রণনীতি ও রণকৌশল থাকতে হবে। প্রশ্ন হলো, এই অল্প সময়ে আমরা টার্গেট হিসেবে কোন্টাকে বেছে নিতে পারি? আমরা বলতে বোঝাতে চাইছি আমি, বিনু, বুনু, আপা আর দুলাভাই। এই পাঁচজনের সম্মিলিত টার্গেট হতে হবে।
টার্গেটটা এমন হতে পারে যে, মানুষ ও
দেশের জন্য কিছু একটা করার টার্গেট।
সেটা হতে পারে রাজনৈতিক কোন টার্গেট।
কিন্তু অল্পদিনে এই টার্গেট সফল করা সম্ভব নয়। একটা রাজনৈতিক টার্গেট বাস্তবায়নে সময় প্রয়োজন যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম। আমাদের এই কয়দিনের পরিকল্পনায় সে সুযোগ নেই। সুতরাং ওটা বাতিল।
তারপর আসতে পারে অর্থনৈতিক বিষয়। কিন্তু এটা হলো রাজনীতির ঘনিভূত প্রকাশ।
আরও বড় বিষয়। সুতরাং এটাও বাতিল। এছাড়া আসতে পারে সামাজিক কোন কর্মকান্ডের বিষয়। কিন্তু সেটাও সম্ভব নয়। সাংস্কৃতিক কোন কাজ করা যেতে পারে।
কিন্তু তাও কঠিন ব্যাপার। এই অল্প সময়ে জনকল্যাণমূলক বড় কাজ করা অসম্ভব। অবশ্য নিজেরা নিজেরা আমরা তো
সাংস্কৃতিক কাজের কিছু একটা করবোই। এটা আন-অফিসিয়িাল থাকবে। কারণ মানুষ ও
দেশের কল্যাণে এটা কোন ভূমিকা রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। আন-অফিসিয়িাল এই কর্মসূচিতে থাকবে, একটা সুন্দর স্ক্রীপ্ট তৈরি করে তা ক্যাসেট আকারে প্রকাশ করা। এই স্ক্রীপ্টে নাটক থাকবে, সঙ্গীত থাকবে, আবৃত্তি থাকবে, মানুষের মুক্তির সংগ্রামে একটা কাহিনী থাকবে। আর শেষ পর্বটায় মানুষকে বিপ্লবের সঙ্গে সামিল করতে সহায়ক কিছু থাকবে। এই স্ক্রীপ্টের চরিত্রগুলোর রূপদান করবো আমরা পাঁচ রত্ন।
যেহেতু এটা আন-অফিসিয়িালÑ সেহেতু এটার আলোচনা এখনই নয়। তাছাড়া এ
রকম আন-অফিসিয়াল বিষয় আরও থাকবে।
আমাদের আসল টার্গেট কি
হবেÑ সেটাই ভাবার বিষয়। অবশ্য একটা কাজ করা যেতে পারে, যে স্ক্রীপ্টটার কথা ভাবছিÑ সেটার মতো একটা বইও লেখা যেতে পারে। বই হলে অনেকে তা
পড়তে পারবে, অনেক কিছু জানতে পারবে।
আমরা চরিত্র হিসেবে সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত, লাঞ্ছিত, নিপীড়িত, সর্বহারা মানুষকে বেছে নিতে পারি। জনে জনে ভাগ হয়ে আমরা পাঁচজন গ্রামে চলে যেতে পারি। দেখতে পারি শ্রেণীগতভাবে তারা কতোটুকু সচেতন আছে। একসময় বামপন্থীরা তাদের অনেক সচেতন আর সংগঠিত করেছিল।
কিন্তু আজকের বামপন্থীরা সেই অবস্থাকে কতোটুকু ধরে রাখতে পেরেছে? এইসব চরিত্রগুলোর কথা টানতে পারি। খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের কথা এবং অবস্থা তুলে ধরতে পারি। সরকার এবং ধনী মানুষগুলো কেমন সব
উন্নয়নের কথা বলছে, নিজেরা নিজেদের জন্য বেহেস্ত তৈরি করে নিয়েছেÑ আর তাদের পায়ের নিচে পড়ে থাকা এই
মানুষগুলো কেমনভাবে বেঁচে আছে? এই মানুষগুলোর ভাবনা-চিন্তাগুলোকে আমরা বের করে আনতে পারি। তারপর পাঁচজন মিলে একটা বই লিখতে পারি।
কিংবা অন্য কিছুও করতে পারি। আমরা চলে যেতে পারি সুন্দরবন, বান্দরবন, রাঙ্গামাটি, রামু, উখিয়া অথবা টেকনাফে। এইসব জায়গাগুলোতে এখনও এমন সব আশ্চর্য জিনিস রয়েছেÑ যা আজ পর্যন্ত আবিস্কৃতই হয়নি। পুরাকীর্তি, বৌদ্ধবিহার, আদিযুগের এলাকা, মঠ, গীর্জা, মন্দির, ঘর-বাড়ি, পাহাড়, পর্বত বহুকিছু রয়েছে। এসবের অনেক জায়গায় আজও পর্যন্ত সভ্য মানুষ হিসেবে পরিচিতরা যেতে পারেনি। কোন পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে ডাইনোসরের ফসিল, কংকাল। রয়েছে অনাবিস্কৃত প্রাকৃতিক সম্পদ, সোনা, মণি-মুক্তাসহ নানান রকমের খনিজ ধাতুও। আরও রয়েছে এলাকার উপজাতীয় মানুষ এবং তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য।
এসবের সঠিক ও
নতুন নতুন তথ্য বের করে নিয়ে আসাও একটা বিশাল আবিস্কার। এছাড়া জীব-জন্তু এবং বন্য প্রাণীতে ভরপুর জঙ্গল আর পাহাড়ের সঙ্গে মিতালী করে, ওইসব জায়গায় ঘুড়ে বেরিয়ে, ঝর্ণার পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে কুমিরের সাক্ষাতও কি কম রোমাঞ্চকর? শুধু একটু মানুষ ও দেশের উপকারের কথা মনে রাখলে এইসব জায়গা থেকে মহামূল্যবান তথ্য বের করা যেতে পারে। এমনকি এসব করতে গিয়ে নিজেরাও সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে যেতে পারি। অবশ্য আমরা শিরোনাম হতে চাই না। আমরা চাই গোটা দেশের শোষিত মানুষরা জেগে উঠুক, তারাই শিরোনাম হোক।
পৃথিবীতে একদিন প্রাণী ছিল না। এটা ছিল আগুনের পিন্ড। সূর্য থেকে একটা কণার মতো বিচ্যুত হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
তারপর হাজার হাজার কোটি কোটি বছর পর পৃথিবী ঠান্ডা হয়েছে। সেখানে প্রাণের জন্ম হয়েছে। প্রটোপ্লাজম, উভচর প্রাণী, বানর, বনমানুষ থেকে আজকের মানুষ মানুষ হয়েছে। সে-ই অতীতে পৃথিবী যখন গরম ছিল, তখন টগবগ করে ফুটতো এখানকার মাটি।
ফুলে ফেঁপে উঁচু-নিচু হয়ে যেতো।
ঠান্ডা হবার পর
পৃথিবীটা ছিল উঁচু-নিচু। পার্বত্য এলাকাগুলো তার সর্বশেষ স্মৃতি। যুগ যুগ আগে এইসব স্থানে ক-তো শ-তো সভ্যতা বাস করেছে।
ভূমিকম্প হয়ে, সমুদ্রের উত্থান-পতনে, আকাশ থেকে উল্কা আর
গ্রহ-নক্ষত্রের পতনে এইসব সভ্যতা পৃথিবীর মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। পার্বত্য এলাকাগুলোতে সভ্য মানুষ পৌঁছুতে না পারায় এইসব চাপা পড়া সভ্যতার চিহ্ন আজও তেমনই রয়ে গেছে। আমরা যদি তার ছিঁটেফোঁটাও সংগ্রহ করতে পারিÑ তাহলে তা
হবে মানব সভ্যতার জন্য এক বিরাট পাওয়া। সবাই তো আর এই সংগ্রহের সুযোগ পায় না, বা এভাবে ভাবেও না। আমরা যেহেতু ভাবছি এবং সুযোগ পাচ্ছি, সেহেতু ছাড়বো কেন? টার্গেট হিসেবে বিষয়টাকে বেছে নেওয়া যায় কিনাÑ খুব ভালভাবে আরও ভাবতে হবে। অবশ্য ফুল তুলতে গিয়ে কাটা ফোটারও ভয় থাকে। এ ধরনের একটা অভিযানে যেমন আছে আনন্দ, উত্তেজনা, উন্মাদনাÑ ঠিক তেমনই আছে পদে পদে বিপদ। বনে আছে বাঘ, সিংহ, হায়েনা, গন্ডার, ভয়ঙ্কর সাপ গাম্বুন ভাইপার। আছে আরও হিংস্র কতোসব জীব-জন্তু, গাছ-গাছালি। তাছাড়া পার্বত্য এলাকায় আছে শত্রæ ভাবাপন্ন উপজাতীয় গোষ্ঠী, আছে চাকমা গেরিলা দল শান্তি বাহিনী, রোহিঙ্গা আর আরাকানী গেরিলা দল। চোরাকারবারী, মাদক ব্যবসায়ী, গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল, ভারতীয় বোরো-কুকি-অসমী গেরিলা দলের লোকেরও নাকি আনাগোনা আছে এসব গহীন অঞ্চলে। আমাদের অভিযান চালাতে গিয়ে হিংস্র জীব-জন্তু কিংবা মানুষ-জনের সঙ্গে বন্ধুত্বও হতে পারে, আবার শত্রæতাও হতে পারে। শত্রæতার পরিণাম হবে মুত্যু।
সুতরাং আমাদের পঞ্চরতেœর টার্গেট এবং অভিযান হলো ভয়ঙ্কর ঝুঁকিপূর্ণ।
------------ চলবে --------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for Message